হঠাৎ দেখলেন আপনার কম্পিউটার আগের মতো পারফর্মান্স দিচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রায়ই লেগে আছে। যেমন কম্পিউটারের গতি অনেক কমে গেছে, উইন্ডোজ আপডেট বা হালনাগাদ করতে গেলে সমস্যা হয়, সহজে ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে ইত্যাদি। পরিচিত দু'একজনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে, এন্টি ভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল করতে হবে, তারপর উইন্ডোজের টেম্পরারি ফাইল মুছে ফেলে দিতে হবে, ডেস্কটপে ফাইল সংরক্ষণ করা যাবে না, কুকি ফাইলসমূহ মুছে ফেলতে হবে, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল করতে হবে ইত্যাদি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়াসমূহ কিভাবে সম্পন্ন করবেন তা বুঝতে পারছেন না। এ ধরনের সমস্যার সহজ সমাধান পেলে কেমন হত? নিশ্চয় মন্দ না। আসুন তাহলে শুরু করা যাক। এবার লক্ষ্য করুন এবং ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে থাকুন।কিভাবে পিসির গতি বাড়ানো যায় অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, পিসি কিছুদিন পরে অস্বাভাবিক ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। কোন কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় না। পিসি হ্যাং হয়ে যায়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিসি বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে ধীরগতি তো রয়েছে। এতে করে ব্যবহারকারীর মেজাজ বিগড়ে যায়। তবে হার্ডওয়্যারের সমস্যা যেমন র্যাম, পাওয়ার ইউনিট, মাদারবোর্ড ইত্যাদিতে কোনো সমস্যা না হলে (সেই সমস্যাও অনেককাংশে সমাধান করা যায়, যেমন নিজেই র্যাম, পাওয়ার ইউনিট, মাদারবোর্ড ইত্যাদি পরীক্ষা করে বদলে ফেলতে পারেন) ব্যবহারকারীর সচেতনতা ও কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায় সহজেই। সেক্ষেত্রে আমরা নিুলিখিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরন করতে পারেনঃ স্টার্টআপ প্রোগ্রামে শুরুতেই সময় ক্ষেপণ কম্পিউটার ওপেন করে দ্রুত জরুরী কাজ সারবেন। এমন সময় দেখলেন কম্পিউটার স্টার্ট হওয়ার পর অনেক সময় নিচ্ছে। সাধারণত কম্পিউটার চালু করার সঙ্গে যেসব প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে তাতে করে শুরুতেই কিছু সময় লাগে বটে। যদি অনেক প্রোগ্রাম স্টার্টআপের সময় আসে সেক্ষেত্রে মনে হওয়া স্বাভাবিক কম্পিউটারটি যথেষ্ট ধীরগতি সম্পন্ন। এজন্যে একান্ত প্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য কোন প্রোগ্রাম স্টার্টআপের সময় চলতে না দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিজেবল করে রাখা ভাল। এজন্যে কি করবেন? নিুলিখিত পদ্ধতি অনুসরন করুন। ০১. স্টার্ট মেনু হতে Run এ ক্লিক করে msconfig লিখে এন্টার চাপুন। ০২. একটি উইন্ডো চলে আসে। এখানে Selective Startup ট্যাব নির্বাচন করুন।
০৩. যেসব প্রোগ্রাম শুরুতেই আসার প্রয়োজন নেই সেগুলো টিক চিহ্ন ওঠিয়ে দিন এবং OK চাপুন।
০৪. এবার কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন। কম্পিউটার রিস্টার্ট হবার পর System Configuration Utility একটি উইন্ডো চলে আসে।
এই অপশন নির্বাচন করে OK বাটনে ক্লিক করুন। ফলে অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ আর হবে না। নতুন নতুন সফট্ওয়্যার ইনস্টলে সচেতনতা অবলম্বন কিছু ব্যবহারকারী রয়েছে যারা নতুন নতুন সফট্ওয়্যারের সন্ধান পেলে উল্লসিত হয়ে কিছু না বুঝে ওঠার আগেই ইনস্টল করা শুরু করেন। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত ঘটে যেতে পারে। বেশির ভাগ ফ্রি সফট্ওয়্যারে স্পাইওয়্যার, ভাইরাস লুকায়িত থাকে। ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গে এইসব অনাকাঙ্খিত প্রোগ্রাম কম্পিউটারের অভ্যন্তরে কাজ শুরু করে দেয়। তাছাড়া যত বেশি সফট্ওয়্যার ইনস্টল করবেন ততই কম্পিউটার ধীরগতি সম্পন্ন হবে হার্ডডিস্কের সিস্টেম ড্রাইভে বেশি লোড হতে থাকার কারণে এবং রেজিস্ট্রিতে বাড়তি চাপ আসার ফলে। এক্ষেত্রে সমাধান সম্ভব কেবলমাত্র অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল করার মাধ্যমে। কন্ট্রোল প্যানেল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করুন। ভাইরাস থেকে সাবধান যে কোনো অনাকাঙ্খিত প্রোগ্রাম বা ভাইরাস থেকে আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখলে হলে একটি ভাল এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে লাইসেন্স করা এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করাই শ্রেয়। তবে এটা সম্ভব না হলে একটি ভাল এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামে ফ্রি সংস্করণ ব্যবহার করা যেতে পারে। টেম্পরারি ফাইল, কুকি এবং রেজিস্ট্রি পরিষ্কার রাখা কম্পিউটারে কাজ করতে থাকলে এবং সেই সঙ্গে সফট্ওয়্যার ইনস্টল ও আনইনস্টল করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেম্পরারি ফাইল তৈরি হতে থাকে। এর ফলে কম্পিউটারটি ধীরগতি সম্পন্ন হয়। এই টেম্পরারি ফাইল মুছে ফেলতে কি করতে হবে। এজন্যে যা করতে হবে তা নিুরূপঃ ০১. স্টার্ট মেনু হতে Run এ ক্লিক করে %temp% লিখে এন্টার চাপুন।
০২. এবার সকল ফাইল নির্বাচন করে মুছে ফেলুন।
ব্রাউজ করার সময় কম্পিউটারে কুকি ফাইল জমা হতে থাকে। এর অধিকাংশ ফাইল অপ্রয়োজনীয়। এই ফাইলগুলো কম্পিউটারকে ধীরগতি সম্পন্ন করে। ফায়ারফক্স এ এই কুকি সমূহ মুছে ফেলতে এই ব্রাউজার প্রোগ্রাম ওপেন অবস্থায় Tools এ ক্লিক করুন।
এরপর Option এ ক্লিক করুন এবং তারপরে Privacy ট্যাব নির্বাচন করুন।
এবার Clear Private Data Now অপশন নির্বাচন করুন। এবার OK ক্লিক করুন। অবশ্য এক্ষেত্রে ফায়ারফক্স ব্রাউজার প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত। অন্যদিকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে এই কুকি সমূহ মুছে ফেলতে এই ব্রাউজার প্রোগ্রাম ওপেন অবস্থায় Tools এ ক্লিক করুন।
এরপর Internet Options ক্লিক করুন এবং General ট্যাবের অধীন Delete Cookies…এ ক্লিক করুন।
এরপর OK ক্লিক করুন এবং আবার OK ক্লিক করুন। এরকমভাবে নিজেই নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের অনেক সমস্যা সমাধান করতে পারেন অনায়াসে। কারণ, এতে করে অযথা সময় ক্ষেপণ করতে হয় না। আপনার মূল্যবান সময় সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS